পাসপোর্টের উপ-পরিচালকে  দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ

পাসপোর্টের উপ-পরিচালকে  দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ

ঘুষ গ্রহণপূর্বক অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক তারিক সালমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) দুদকের প্রধান কার্যালয় সেগুনবাগিচায় সকাল ১০ থেকে ১১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সংস্থাটি উপ-পরিচালক আবু বকর সিদ্দিকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল।  
তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাসপোর্টের জিম গ্রাফিক হালিমা খাতুন সম্পাকে তলব করা হলেও তিনি হাজির হননি দুদকে।

এর আগে গত সোমবার (১১ জানুয়ারি) দুদক কার্যালয় থেকে পাসপোর্টের চারজনের কাছে সংস্থাটি উপ-পরিচালক আবুবকর সিদ্দিক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাদের তলব করা হয়।

দুদকের তলবি নোটিশে পরিচালক (পাসপোর্ট ও ভিসা) সাইফুর রহমান ও প্রকল্প পরিচালক এ কে এম মাজহারুল ইসলাম ১৭ জানুয়ারি দুপুর ১২টা এবং উপ-পরিচালক তারিক সালমান এবং জিম  গ্রাফিক হালিমা খাতুন সম্পাকে ১৯ জানুয়ারি দুপুর ১২টায় তলব করা হয়।  

তবে এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি তলবি নোটিশে পরিচালক (পাসপোর্ট ও ভিসা) সাইফুর রহমান ও প্রকল্প পরিচালক এ কে এম মাজহারুল ইসলাম দুপুর ১২টা হাজির হননি।

জানা গেছে, ভারতীয় এক নাগরিককে পাসপোর্ট দেওয়ার সূত্র ধরে দুদক পাসপোর্ট অধিদপ্তরের বেশকিছু কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।  

এর আগে ২০২০ সালের ১২ মার্চ ভারতীয় নাগরিককে পাসপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে রাজশাহী বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের সাবেক সহকারী পরিচালক (পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত) আবজাউল আলম, ভারতীয় নাগরিক হাফিজ আহমেদ, রাজশাহী পাসপোর্ট অফিসের কর্মচারী রঞ্জু লাল সরকার,  হুমায়ুন কবির, দেলোয়ার হোসেন, আলমাস উদ্দিন, ইব্রাহিম হোসেন ও আবদুল ওয়াদুদের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

ওই মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভারতীয় নাগরিক হাফিজ আহমেদ, ভুয়া জন্ম সনদ ব্যবহার করে রাজশাহী বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিস পাসপোর্টের আবেদন করেন। এরপর পুলিশ ভেরিফেকশনে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে রিপোর্ট দেওয়ার পরও পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি চক্র যোগসাজশে তাকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট দেওয়া হয়।


ভোরের আলো/ভিঅ/১৯/০১/২০২১